Posts

Showing posts from July, 2018

নবাবের দেশে (মুর্শিদাবাদ) - পর্ব : ২

Image
আগের পর্বে ( নবাবের দেশে (মুর্শিদাবাদ) - পর্ব : ১ ) আমরা শেষ করেছিলাম জগৎ সেথের বাড়ি দেখে। এবার আমাদের নিয়ে টাঙ্গা ছুটলো জাফর গঞ্জ সমাধির উদ্দেশ্যে। চলতে চলতে পথে দেখলাম এক বিশাল বড় ভগ্নপ্রায় দরজা। আমাদের টাঙাওয়ালা জানালো এই দরজার নাম নিমক হারাম দেউড়ি। এই সেই জায়গা যেখানে সিরাজকে হত্যা করা হয়েছিল।  জাফরগঞ্জ সমাধিক্ষেত্র পথ চলতে চলতে একসময় আমরা এসে পৌঁছলাম জাফরগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে। মীরজাফরসহ তার বংশের আরও অনেক নবাব এবং তাদের আত্মীয়রা শায়িত আছেন এখানে। মীরজাফরের সমাধি জাফরগঞ্জ সমাধিক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আমাদের পরবর্তী দ্রষ্টব্য ছিল নশীপুর রাজবাড়ি। কিন্তু আমাদের সারথী বললো তার আগে ও আমাদের আর একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চায় যেখানে নাকি সাধারণত কেউ নিয়ে যায় না। জায়গাটা হলো নশিপুর বৈষ্ণব আখড়া। আমরা এককথায় রাজি হয়ে গেলাম ওর সাথে যেতে। সাথে সাথে ও টাঙ্গা ছুটিয়ে দিলো আখড়ার উদ্দেশ্যে।  সোনার রথ ৮০ টাকার গাড়ি এখানে এসে মনে হলো যদি না আসতাম সত্যি অনেক কিছু miss করতাম। বৈষ্ণব এই আখড়া হলেও এটা একটা ছোটোখাটো সংগ্রহশালা। এখানে...

নবাবের দেশে (মুর্শিদাবাদ) - পর্ব : ১

Image
মুর্শিদাবাদ, এই শহরের পরতে পরতে রয়েছে বাংলার নববীয়ানার ইতিহাস। একদিকে যেমন রয়েছে স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দৌলার বীরত্ব, সাহসিকতার এবং হার না মানার উজ্জ্বল কাহিনী আর তার ঠিক বিপরীতে রয়েছে মীরজাফর, জগৎ শেঠদের বিশ্বাসঘাতকতার কলঙ্কিত ইতিহাস। বাংলার এই নববীয়ানাকে ছুঁয়ে দেখতে মালদা থেকে একদম ভোরবেলা বেরিয়ে পড়লাম মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে। মালদার কথা তো আগেই বলেছি। এবার বলবো মুর্শিদাবাদের কথা। মালদার হোটেলে আগেরদিন রাতেই check out করে রাখা ছিল। ভোরবেলা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরতে আমরা যখন বেরোলাম তখন সবে ভোর হচ্ছে। হোটেল থেকে বেরিয়ে একটা গাড়ি পাওয়া গেল যেটা ধরে আমরা নিউ মালদা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। যথা সময় আমরা ট্রেনে চেপে বসলাম। ট্রেন ছুটতে থাকলো নবাবের দেশের দিকে। এক সময় গুমগুম আওয়াজ করতে করতে ফারাক্কা ব্যারেজ পেরিয়ে গেলাম। তারপর এলো ধুলিয়ান স্টেশন। এটা সেই জায়গা যেখানে গঙ্গা, পদ্মা ও ভাগীরথী দুই ধারায় ভাগ হয়ে গেছে। চলতে চলতে একসময় পৌঁছে গেলাম খাগড়াঘাট স্টেশনে। এই স্টেশনটি ভাগীরথীর যে পাশে তার বিপরীত দিকে বহরমপুর শহর। আমরা যাব বহরম ছাড়িয়ে নবাবের খাস জায়গা লালবাগে। স্টেশন থেকে বে...

সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (পর্ব - ২)

Image
প্রথম পর্বের ( তারাপীঠের আশেপাশে ) পর --- পরদিন সকাল সকাল উঠে স্নান করে তৈরি হয়ে নিলাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য। আমাদের হোটেল থেকে মন্দিরের দূরত্ব বেশি নয়। তাই আমরা পায়ে হেঁটেই এগিয়ে চললাম মন্দিরের দিকে। দ্বারকা নদী আমাদের হোটেলটি দ্বারকা নদীর যে পাশে, মন্দির তার বিপরীত পাশে। তাই মন্দিরে যেতে হলে দ্বারকা নদীর উপরকার সেতু অতিক্রম করে যেতে হয়। নদী এখানে খুবই শীর্ণকায়। তবে ব্রিজের উপর দিয়ে খুব সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যায়। ব্রীজ পেরোলেই মন্দিরের গলি। এই সকাল বেলাতেও দর্শনার্থী, পাণ্ডা ও দোকানদারদের ডাকাডাকিতে বেশ জমজমাট। এই ভিড় কাটিয়ে এগোতে এগোতে একসময় আমরা পান্ডাঠাকুরের দোকানে পৌঁছে গেলাম। ঘড়িতে তখন পৌনে সাতটা। আমাদের নাম গোত্র লিখে নিয়ে সেইমতো ডালা তৈরি করে দিলেন দোকানদার। ডালা নিয়ে দাঁড়ালাম পুজো দেবার লাইনে। তারাপীঠ মন্দিরের প্রবেশদ্বার তারা মায়ের মন্দির নিয়ে অনেক রকম পৌরাণিক কথা শোনা যায়। একটি মত অনুযায়ী দেবীর তৃতীয় নয়ন পরেছে এইখানে। তাই এটি শক্তিপীঠ। আবার অন্য একটি মতে সমুদ্রোমন্থনের সময় মহাদেব যে গড়ল পান করেন তা খেয়ে তাঁর গলায় খুব জ্বলনের সৃষ্টি হয়। সেই সময় ...